চীনের ভুয়া কমিউনিস্ট পার্টির ২০তম কংগ্রেস শি’র নেতৃত্বে সামাজিক সাম্রাজ্যবাদী চীনের সুসংবদ্ধকরণ

আন্দোলন প্রতিবেদন
বৃহঃস্পতিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
গত অক্টোবর মাসে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল চীনের তথাকথিত কমিউনিস্ট পার্টির ২০তম কংগ্রেস। ২০তম কংগ্রেসে পুনরায় পার্টির সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন শি জিন পিং। সারা বিশ্বের নিপীড়িত মানুষ মাও সেতুঙ-এর নেতৃত্বে চীনের কমিউনিস্ট পার্টির কংগ্রেসকে গুরুত্বের সাথেই নজর রাখতেন। সেরকম কোনো কংগ্রেস এটা ছিলো না। আমরা জানি যে, ১৯৭৬ সালে কমরেড মাও-এর মৃত্যুর পর সংশোধনাবাদীরা অর্থাৎ পুঁজিবাদের পথগামীরা একটি ক্যু-দেতার মাধ্যমে চীনা কমিউনিস্ট পার্টির ক্ষমতা দখল করেছিল। পার্টিতে সমাজতান্ত্রিক লাইনের পরিবর্তে পুঁজিবাদী লাইন পুনঃপ্রতিষ্ঠা হয়েছিল। এবং সমাজতান্ত্রিক চীন অধঃপতিত হয়েছিল একটি পুঁজিবাদী দেশে। তারই ধারাবাহিকতায় চীন বর্তমানে একটি সাম্রাজ্যবাদী দেশ, যাকে বলা হয়ে থাকে সামাজিক সাম্রাজ্যবাদ। অর্থাৎ, মুখে সমাজতন্ত্র, কাজে সাম্রাজ্যবাদ।
কিন্তু এখনো পর্যন্ত আমাদের দেশসহ সারা বিশ্বেই কমিউনিস্ট নামধারী সংশোধনবাদীরা শি জিন পিং-এর নেতৃত্বে চীনা পার্টিকে কমিউনিস্ট পার্টি হিসেবে জয়ধ্বনি দিয়ে চলেছে। এরা এখনো জনগণকে বিভ্রান্ত করছে। এদের মধ্যে যারা এখনো শি’র নেতৃত্বে ‘সমাজতন্ত্রকে’ বাহবা দিচ্ছে, তারাই মাও আমলে চীনকে বিষোদগার করেছে। তখন যারা চীনকে সমর্থন করেছে তাদের সিআইএ-এর চর পর্যন্ত আখ্যায়িত করেছে। ২০তম কংগ্রেসে কোথাও সারা বিশ্বের নিপীড়িত জনগণের মুক্তি সংগ্রাম সম্পর্কে আলোচনার কোনো চিহ্ন নাই।
পুঁজিবাদ পুনঃপ্রতিষ্ঠার পরে চীনা কমিউনিস্ট পার্টির কংগ্রেসগুলো ছিলো পুঁজিবাদকে এগিয়ে নেয়ার কংগ্রেস। ২০১৮ সালের ১৯তম কংগ্রেস ছিলো চীনের পুঁজিবাদের সাম্রাজ্যবাদে উপনীত হওয়ার খোলামেলা মহড়ার কংগ্রেস। আর ২০তম কংগ্রেস হলো সামাজিক সাম্রাজ্যবাদী চীনের আন্তঃসাম্রাজ্যবাদী যুদ্ধের প্রস্তুতির কংগ্রেস। শি জিন পিং তার উদ্বোধনী ভাষণে সাম্রাজ্যবাদী চীনের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার ইঙ্গিত দিয়েছে। তার দেশের সাম্রাজ্যবাদী কোম্পানি ও পুঁজিপতিদের মুখপাত্র হিসেবে সাম্রাজ্যবাদী আমেরিকার বিরুদ্ধে হুংকার ছুঁড়েছে মাত্র।
* চীনা জনগণের ভবিষ্যৎকে ছুঁড়ে ফেলে দিয়ে শি তার পূর্ববর্তী নেতাদের মতোই বুর্জোয়াদের পক্ষে দাঁড়িয়েছে।
* উগ্র জাতীয়তাবাদী/সাম্রাজ্যবাদী নীতি দ্বারা তাইওয়ান দখল করবার ঘোষণা দিয়েছে।
* চীনকে “আধুনিক” “চীনা বৈশিষ্ট্যমন্ডিত সমাজতান্ত্রিক দেশ” হিসেবে গড়ে তোলার সংশোধনবাদী কথাও বলেছে শি।
অথচ ১৯তম কংগ্রেসের পর প্রকৃত সমাজতন্ত্র আকাঙ্ক্ষী মাওবাদী কমরেডদের শি’র গোয়েন্দা ও পুলিশ বাহিনী হত্যা ও গুম করেছে। চীনের শ্রেণি বৈষম্য আগের যেকোনো সময়ের থেকে বৃদ্ধি পেয়েছে। নারীদের অবস্থা আরো খারাপ হয়েছে। কিন্তু চীনা কোটিপতিরা আরো বড় কোটিপতি হয়েছে এবং তারাই এখন চীনা পার্টির নেতৃস্থানীয় কর্তাব্যক্তি। শি জিন পিং সমাজতন্ত্রের নামে বাস্তবে সামাজিক সাম্রাজ্যবাদকে নেতৃত্ব দিচ্ছে। এবারের ২০তম কংগ্রেসে ‘যোগ্য’ সাম্রাজ্যবাদী নয়া চীনা সম্রাট নির্বাচন ছাড়া আর কিছুই নয়।
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
চীনের ভুয়া কমিউনিস্ট পার্টির ২০তম কংগ্রেস শি’র নেতৃত্বে সামাজিক সাম্রাজ্যবাদী চীনের সুসংবদ্ধকরণ
গত অক্টোবর মাসে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল চীনের তথাকথিত কমিউনিস্ট পার্টির ২০তম কংগ্রেস। ২০তম কংগ্রেসে পুনরায় পার্টির সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন শি জিন পিং। সারা বিশ্বের নিপীড়িত মানুষ মাও সেতুঙ-এর নেতৃত্বে চীনের কমিউনিস্ট পার্টির কংগ্রেসকে গুরুত্বের সাথেই নজর রাখতেন। সেরকম কোনো কংগ্রেস এটা ছিলো না। আমরা জানি যে, ১৯৭৬ সালে কমরেড মাও-এর মৃত্যুর পর সংশোধনাবাদীরা অর্থাৎ পুঁজিবাদের পথগামীরা একটি ক্যু-দেতার মাধ্যমে চীনা কমিউনিস্ট পার্টির ক্ষমতা দখল করেছিল। পার্টিতে সমাজতান্ত্রিক লাইনের পরিবর্তে পুঁজিবাদী লাইন পুনঃপ্রতিষ্ঠা হয়েছিল। এবং সমাজতান্ত্রিক চীন অধঃপতিত হয়েছিল একটি পুঁজিবাদী দেশে। তারই ধারাবাহিকতায় চীন বর্তমানে একটি সাম্রাজ্যবাদী দেশ, যাকে বলা হয়ে থাকে সামাজিক সাম্রাজ্যবাদ। অর্থাৎ, মুখে সমাজতন্ত্র, কাজে সাম্রাজ্যবাদ।
কিন্তু এখনো পর্যন্ত আমাদের দেশসহ সারা বিশ্বেই কমিউনিস্ট নামধারী সংশোধনবাদীরা শি জিন পিং-এর নেতৃত্বে চীনা পার্টিকে কমিউনিস্ট পার্টি হিসেবে জয়ধ্বনি দিয়ে চলেছে। এরা এখনো জনগণকে বিভ্রান্ত করছে। এদের মধ্যে যারা এখনো শি’র নেতৃত্বে ‘সমাজতন্ত্রকে’ বাহবা দিচ্ছে, তারাই মাও আমলে চীনকে বিষোদগার করেছে। তখন যারা চীনকে সমর্থন করেছে তাদের সিআইএ-এর চর পর্যন্ত আখ্যায়িত করেছে। ২০তম কংগ্রেসে কোথাও সারা বিশ্বের নিপীড়িত জনগণের মুক্তি সংগ্রাম সম্পর্কে আলোচনার কোনো চিহ্ন নাই।
পুঁজিবাদ পুনঃপ্রতিষ্ঠার পরে চীনা কমিউনিস্ট পার্টির কংগ্রেসগুলো ছিলো পুঁজিবাদকে এগিয়ে নেয়ার কংগ্রেস। ২০১৮ সালের ১৯তম কংগ্রেস ছিলো চীনের পুঁজিবাদের সাম্রাজ্যবাদে উপনীত হওয়ার খোলামেলা মহড়ার কংগ্রেস। আর ২০তম কংগ্রেস হলো সামাজিক সাম্রাজ্যবাদী চীনের আন্তঃসাম্রাজ্যবাদী যুদ্ধের প্রস্তুতির কংগ্রেস। শি জিন পিং তার উদ্বোধনী ভাষণে সাম্রাজ্যবাদী চীনের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার ইঙ্গিত দিয়েছে। তার দেশের সাম্রাজ্যবাদী কোম্পানি ও পুঁজিপতিদের মুখপাত্র হিসেবে সাম্রাজ্যবাদী আমেরিকার বিরুদ্ধে হুংকার ছুঁড়েছে মাত্র।
* চীনা জনগণের ভবিষ্যৎকে ছুঁড়ে ফেলে দিয়ে শি তার পূর্ববর্তী নেতাদের মতোই বুর্জোয়াদের পক্ষে দাঁড়িয়েছে।
* উগ্র জাতীয়তাবাদী/সাম্রাজ্যবাদী নীতি দ্বারা তাইওয়ান দখল করবার ঘোষণা দিয়েছে।
* চীনকে “আধুনিক” “চীনা বৈশিষ্ট্যমন্ডিত সমাজতান্ত্রিক দেশ” হিসেবে গড়ে তোলার সংশোধনবাদী কথাও বলেছে শি।
অথচ ১৯তম কংগ্রেসের পর প্রকৃত সমাজতন্ত্র আকাঙ্ক্ষী মাওবাদী কমরেডদের শি’র গোয়েন্দা ও পুলিশ বাহিনী হত্যা ও গুম করেছে। চীনের শ্রেণি বৈষম্য আগের যেকোনো সময়ের থেকে বৃদ্ধি পেয়েছে। নারীদের অবস্থা আরো খারাপ হয়েছে। কিন্তু চীনা কোটিপতিরা আরো বড় কোটিপতি হয়েছে এবং তারাই এখন চীনা পার্টির নেতৃস্থানীয় কর্তাব্যক্তি। শি জিন পিং সমাজতন্ত্রের নামে বাস্তবে সামাজিক সাম্রাজ্যবাদকে নেতৃত্ব দিচ্ছে। এবারের ২০তম কংগ্রেসে ‘যোগ্য’ সাম্রাজ্যবাদী নয়া চীনা সম্রাট নির্বাচন ছাড়া আর কিছুই নয়।
আরও খবর
- শনি
- রোব
- সোম
- মঙ্গল
- বুধ
- বৃহ
- শুক্র