• বৃহঃস্পতিবার, ৭ ডিসেম্বর ২০২৩, ২৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩০
  • ঢাকা, বাংলাদেশ
জাতীয় নির্বাচন ঘিরে আওয়ামী ফ্যাসিবাদীদের ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত অব্যাহত
জাতীয় নির্বাচন ঘিরে আওয়ামী ফ্যাসিবাদীদের ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত অব্যাহত

  আন্দোলন প্রতিবেদন  

বুধবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩  |  অনলাইন সংস্করণ

জাতীয় নির্বাচন ঘনিয়ে আসছে। বিরোধী বুর্জোয়া ও পেটিবুর্জোয়া রাজনৈতিক দলগুলোর দাবি প্রধানমন্ত্রী হাসিনা ও সরকারের পদত্যাগ, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন ব্যবস্থা করা। এজন্য বিএনপি সহ বিরোধী দল-জোট যুগপৎ আন্দোলন করছে। কিন্তু হাসিনা-আওয়ামী লীগ সরকারের মন্ত্রীরা তাদের ভাঙ্গা রেকর্ড বাজিয়েই চলছে– সংবিধান সম্মতভাবে হাসিনা-সরকারের অধীনেই অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন করা হবে। ২০১৪ সালে ভোটার বিহীন নির্বাচন এবং ২০১৮ সালের ভোট ডাকাতির নির্বাচন করায় বিরোধীদলগুলো এবং জনগণও এই সরকারকে আর বিশ্বাস করছে না। এবারও আওয়ামী ফ্যাাসিবাদীরা নির্বাচনী ফলাফল তাদের পক্ষে রাখার জন্য ফ্যাসিবাদ চালানোর পাশাপাশি বিভিন্ন চক্রান্তমূলক কৌশলও নিচ্ছে।

তারা প্রথমে ইসির ক্ষমতা খর্ব করার জন্য আরপিও আইন সংশোধন করেছে। যাতে ইসি গাইবান্ধার নির্বাচনের মত কোনো আসনের গোটা নির্বাচনটিই স্থগিত বা বাতিল করতে না পারে। তারা নির্বাচন সামনে রেখে সরকারি কর্মচারী-কর্মকর্তাদের ভাতা বাড়িয়েছে, তাদের পদোন্নতি দিয়েছে/দিচ্ছে। পুলিশ-প্রশাসনকে দলীয় কর্মীদের মতো ব্যবহার করছে। তারা পুলিশ-প্রশাসনকে ঢেলে সাজিয়েছে। ডিআইজি, ডিসি, এসপি, ওসিকে অনবরত বদলি করেছে/করছে নিজ সুবিধাজনক ভাবে। সর্বশেষ ডিসি ও ইউএনও-দের জন্য দেড় কোটি টাকা দামের দামী গাড়ি কেনার ব্যবস্থা করেছে, যাতে মোট প্রায় ৪০০ কোটি টাকা খরচ হবে। নির্বাচন কমিশন পরিচিত অনেক বিরোধী দলগুলোর নিবন্ধন দেয়নি; অথচ সরকার পক্ষের অপরিচিত দুইটি দলকে নিবন্ধন দিয়েছে। তারা এখন ১০ কোটি মানুষের জন্য সর্বজনীন পেনশন চালুর মুলা ঝুলিয়ে দিয়েছে। আর ‘উন্নয়ন’-এর ফিতাকাটা তো চলছেই। 

বিএনপি এবং বিরোধী দলের কর্মসূচির দিনে তারা নিজেরা “শান্তি সমাবেশ” নামে পাল্টা কর্মসূচি দিয়ে এবং বিরোধী দলের কর্মসূচিতে হামলা-খুন-জখম করে অশান্তি সৃষ্টি করছে। বিএনপি. কর্মীদের উপর মামলা-হামলা-গ্রেপ্তার চলছেই। পূর্বেই খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমানকে নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা করেছে। সম্প্রতি ছাত্রদলের নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার করে অস্ত্র মামলা দিয়ে  অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির জন্য অস্ত্র সংগ্রহের অভিযোগে অভিযুক্ত করছে। সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের আগে থেকেই প্রচার করে বেড়াচ্ছেন দেশে সন্ত্রাস হবে। 

আওয়ামী সরকার বিরোধী দলগুলোর মধ্যে ভাঙ্গন সৃষ্টিরও চেষ্টা করছে। জাতীয় পার্টিতে বিগত বছরগুলোতে তারা পূর্ণ সফল হয়েছে। ২০১৪ সালে ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বাংলাদেশে এসে জাতীয় পার্টি প্রধান এরশাদকে সিএমএইচে ভর্তি করিয়ে রওশন এরশাদকে বাগিয়ে জাতীয় পার্টিকে নির্বাচনে যেতে বাধ্য করেছিল। এ বছর জি.এম কাদের আওয়ামী সরকারের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে সমালোচনা করে বলেছে হাসিনা সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। এবারও রওশন এরশাদকে সামনে দিয়ে জাতীয় পার্টিতে ভাঙ্গন ধরানোর চেষ্টা চলছে। যাতে তারা দেখাতে পারে যে, জাপা নির্বাচন করছে। জাপা-কে সাইজ করার জন্য জিএম কাদেরকে ভারতে ডেকেও পাঠানো হয়েছিল আমন্ত্রণের নামে। এসবই করা হচ্ছে একটা সাজানো নির্বাচন দেখানোর লক্ষ্যে।

রাশিয়া-চীন-ভারত যখন হাসিনা সরকারের সমর্থনে কথা বলছে, ওবাদুল কাদের তখন না শোনার ভান করছেন। কিন্তু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ ইইউ যখন তাদেরকে অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচনের কথা বলে চাপ দেয় তখন বলে আমাদের দেশ নিয়ে তাদের এত মাথা ব্যাথা কেন? 

আওয়ামী ফ্যাসিবাদী সরকারের অধীনে বুর্জোয়া অর্থেও একটি অবাধ, নিরপেক্ষ, সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠান সম্ভব নয়। এটা আজ সবাই বিশ্বাস করেন। জনগণের রাষ্ট্রক্ষমতা বা সরকার প্রতিষ্ঠার তো প্রশ্নই ওঠে না। তাই আওয়ামী ফ্যাসিবাদের অবসান সবচেয়ে জরুরি। আর তার জায়গায় প্রতিস্থাপন করতে হবে শ্রমিক-কৃষক-জনগণের গণ-সরকার। সেজন্যই জনগণকে সংগ্রাম করতে হবে।

জাতীয় নির্বাচন ঘিরে আওয়ামী ফ্যাসিবাদীদের ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত অব্যাহত

 আন্দোলন প্রতিবেদন 
বুধবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩  |  অনলাইন সংস্করণ

জাতীয় নির্বাচন ঘনিয়ে আসছে। বিরোধী বুর্জোয়া ও পেটিবুর্জোয়া রাজনৈতিক দলগুলোর দাবি প্রধানমন্ত্রী হাসিনা ও সরকারের পদত্যাগ, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন ব্যবস্থা করা। এজন্য বিএনপি সহ বিরোধী দল-জোট যুগপৎ আন্দোলন করছে। কিন্তু হাসিনা-আওয়ামী লীগ সরকারের মন্ত্রীরা তাদের ভাঙ্গা রেকর্ড বাজিয়েই চলছে– সংবিধান সম্মতভাবে হাসিনা-সরকারের অধীনেই অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন করা হবে। ২০১৪ সালে ভোটার বিহীন নির্বাচন এবং ২০১৮ সালের ভোট ডাকাতির নির্বাচন করায় বিরোধীদলগুলো এবং জনগণও এই সরকারকে আর বিশ্বাস করছে না। এবারও আওয়ামী ফ্যাাসিবাদীরা নির্বাচনী ফলাফল তাদের পক্ষে রাখার জন্য ফ্যাসিবাদ চালানোর পাশাপাশি বিভিন্ন চক্রান্তমূলক কৌশলও নিচ্ছে।

তারা প্রথমে ইসির ক্ষমতা খর্ব করার জন্য আরপিও আইন সংশোধন করেছে। যাতে ইসি গাইবান্ধার নির্বাচনের মত কোনো আসনের গোটা নির্বাচনটিই স্থগিত বা বাতিল করতে না পারে। তারা নির্বাচন সামনে রেখে সরকারি কর্মচারী-কর্মকর্তাদের ভাতা বাড়িয়েছে, তাদের পদোন্নতি দিয়েছে/দিচ্ছে। পুলিশ-প্রশাসনকে দলীয় কর্মীদের মতো ব্যবহার করছে। তারা পুলিশ-প্রশাসনকে ঢেলে সাজিয়েছে। ডিআইজি, ডিসি, এসপি, ওসিকে অনবরত বদলি করেছে/করছে নিজ সুবিধাজনক ভাবে। সর্বশেষ ডিসি ও ইউএনও-দের জন্য দেড় কোটি টাকা দামের দামী গাড়ি কেনার ব্যবস্থা করেছে, যাতে মোট প্রায় ৪০০ কোটি টাকা খরচ হবে। নির্বাচন কমিশন পরিচিত অনেক বিরোধী দলগুলোর নিবন্ধন দেয়নি; অথচ সরকার পক্ষের অপরিচিত দুইটি দলকে নিবন্ধন দিয়েছে। তারা এখন ১০ কোটি মানুষের জন্য সর্বজনীন পেনশন চালুর মুলা ঝুলিয়ে দিয়েছে। আর ‘উন্নয়ন’-এর ফিতাকাটা তো চলছেই। 

বিএনপি এবং বিরোধী দলের কর্মসূচির দিনে তারা নিজেরা “শান্তি সমাবেশ” নামে পাল্টা কর্মসূচি দিয়ে এবং বিরোধী দলের কর্মসূচিতে হামলা-খুন-জখম করে অশান্তি সৃষ্টি করছে। বিএনপি. কর্মীদের উপর মামলা-হামলা-গ্রেপ্তার চলছেই। পূর্বেই খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমানকে নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা করেছে। সম্প্রতি ছাত্রদলের নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার করে অস্ত্র মামলা দিয়ে  অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির জন্য অস্ত্র সংগ্রহের অভিযোগে অভিযুক্ত করছে। সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের আগে থেকেই প্রচার করে বেড়াচ্ছেন দেশে সন্ত্রাস হবে। 

আওয়ামী সরকার বিরোধী দলগুলোর মধ্যে ভাঙ্গন সৃষ্টিরও চেষ্টা করছে। জাতীয় পার্টিতে বিগত বছরগুলোতে তারা পূর্ণ সফল হয়েছে। ২০১৪ সালে ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বাংলাদেশে এসে জাতীয় পার্টি প্রধান এরশাদকে সিএমএইচে ভর্তি করিয়ে রওশন এরশাদকে বাগিয়ে জাতীয় পার্টিকে নির্বাচনে যেতে বাধ্য করেছিল। এ বছর জি.এম কাদের আওয়ামী সরকারের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে সমালোচনা করে বলেছে হাসিনা সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। এবারও রওশন এরশাদকে সামনে দিয়ে জাতীয় পার্টিতে ভাঙ্গন ধরানোর চেষ্টা চলছে। যাতে তারা দেখাতে পারে যে, জাপা নির্বাচন করছে। জাপা-কে সাইজ করার জন্য জিএম কাদেরকে ভারতে ডেকেও পাঠানো হয়েছিল আমন্ত্রণের নামে। এসবই করা হচ্ছে একটা সাজানো নির্বাচন দেখানোর লক্ষ্যে।

রাশিয়া-চীন-ভারত যখন হাসিনা সরকারের সমর্থনে কথা বলছে, ওবাদুল কাদের তখন না শোনার ভান করছেন। কিন্তু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ ইইউ যখন তাদেরকে অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচনের কথা বলে চাপ দেয় তখন বলে আমাদের দেশ নিয়ে তাদের এত মাথা ব্যাথা কেন? 

আওয়ামী ফ্যাসিবাদী সরকারের অধীনে বুর্জোয়া অর্থেও একটি অবাধ, নিরপেক্ষ, সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠান সম্ভব নয়। এটা আজ সবাই বিশ্বাস করেন। জনগণের রাষ্ট্রক্ষমতা বা সরকার প্রতিষ্ঠার তো প্রশ্নই ওঠে না। তাই আওয়ামী ফ্যাসিবাদের অবসান সবচেয়ে জরুরি। আর তার জায়গায় প্রতিস্থাপন করতে হবে শ্রমিক-কৃষক-জনগণের গণ-সরকার। সেজন্যই জনগণকে সংগ্রাম করতে হবে।

আরও খবর
 
শনি
রোব
সোম
মঙ্গল
বুধ
বৃহ
শুক্র