দ্রব্যমূল্যের সীমাহীন ঊর্ধ্বগতি শ্রমিক-কৃষক-মধ্যবিত্ত জনগণ বাঁচবেন কীভাবে?

আন্দোলন প্রতিবেদন
বুধবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
হাসিনা সরকারের উন্নয়নের জাঁতাকলে পিষে মরছেন সাধারণ জনগণ। তীব্র মূল্যস্ফীতিতে যখন জনজীবন বিপন্ন তখন সরকারের মন্ত্রীরা বলছে "দেশে এখন আর কেউ না খেয়ে থাকে না"। অথচ বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি)-এর তথ্যমতে দেশে খাবার কিনতে হিমশিম আবস্থা ৬৮ শতাংশ মানুষের। মাছ-মাংস সহ পুষ্টিকর উপাদানসহ পর্যাপ্ত পরিমাণ খাবার খেতে পারছে মাত্র ১৭% শতাংশ পরিবার। এখনো ২ কোটি ১০ লাখ (১৩%) মানুষ কোনো পুষ্টিকর খাবার খেতে পান না। পুষ্টিকর খাবার না পেয়ে ৩৩% শিশুর শারীরিক বিকাশ ঠিকমতো হচ্ছে না। সুষম খাদ্য (আমিষ, শর্করা, স্নেহ, খনিজ লবণ, ভিটামিন, বিশুদ্ধ পানি) খেতে পারা আর দু'বেলা আলুভর্তা-ভাত খেয়ে জীবন ধারণ করা এক কথা নয়। শ্রমিক-কৃষক-দরিদ্র, এমনকি মধ্যবিত্ত শ্রেণিরও ঘুম হারাম করেছে নিত্য পণ্যের অব্যাহত উর্ধ্বগতি। যে হারে জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে, সে হারে মানুষের আয় বাড়ছে না। শিশু, গর্ভবতী নারীরা পুষ্টিকর খাবার খেতে পারছেন না। নারীরা অপুষ্টিতে ভুগছেন সবচেয়ে বেশি।
শ্রমিক শ্রেণি তাদের আয়ের ৬০ ভাগ খরচ করেন খাদ্যক্রয়ে। তার মধ্যে ৪০ ভাগ চলে যায় চাল ক্রয়ে। মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধির সাথে সাথে শ্রমিকের মজুরি শ্রমিকের কাছ থেকে মুনাফার দিকে ধাবিত হয়। ফলে আয় বৈষম্য তীব্রভাবে বাড়ে, মানুষের ক্রয়ক্ষমতা হ্রাস পায়। বিশেষজ্ঞদের মতে বর্তমানে ৪ সদস্যের একটা পরিবারে শুধুমাত্র সুষম খাদ্য সরবরাহে প্রতিমাসে প্রয়োজন প্রায় ১৯ হাজার টাকা। দিনমজুর, রিকশা চালক, গার্মেন্টস শ্রমিক কিংবা গৃহস্থালির কাজে নিযুক্ত মানুষের সর্বোচ্চ আয়ই এর অর্ধেক। মধ্যবিত্তরাও এই টাকা খরচ করতে হিমশিম খাচ্ছেন।
সরকারের ভাষ্যমতে দেশের মানুষ না খেয়ে থাকে না বা খাদ্যের অভাব নেই। কিন্তু অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন বলেছেন, "দুর্ভিক্ষে যত মানুষ মারা যায় তার চেয়ে বেশি মারা যায় পুষ্টিহীনতার কারণে"। বাংলাদেশও এদিকে ধাবিত হচ্ছে। মূল্যস্ফীতির সাথে সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীরা জনগণের পকেট কেটে নিজেদের পকেট ভরছে। সরকার তাদের নিয়ন্ত্রণ করছে না, কারণ তারাই তারা। এই ব্যবস্থার দ্বারা শ্রমিক-কৃষক-সাধারণ জনগণের দুর্ভোগ লাগব হবে না। নানানভাবেই সাধারণ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন, আর লাভবান হচ্ছে সাম্রাজ্যবাদ এবং দালাল মুৎসুদ্দি বুর্জোয়ারা।
শ্রমিক-কৃষক ও সাধারণ জনগণকে এই দুর্ভোগ থেকে রেহাই পেতে আওয়ামী ফ্যাসিবাদের উচ্ছেদ ও গণক্ষমতা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে নয়াগণতান্ত্রিক বিপ্লবের পথে হাঁটতে হবে। নতুবা এই ব্যবস্থায় পিষে মরতে হবে।
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
দ্রব্যমূল্যের সীমাহীন ঊর্ধ্বগতি শ্রমিক-কৃষক-মধ্যবিত্ত জনগণ বাঁচবেন কীভাবে?
হাসিনা সরকারের উন্নয়নের জাঁতাকলে পিষে মরছেন সাধারণ জনগণ। তীব্র মূল্যস্ফীতিতে যখন জনজীবন বিপন্ন তখন সরকারের মন্ত্রীরা বলছে "দেশে এখন আর কেউ না খেয়ে থাকে না"। অথচ বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি)-এর তথ্যমতে দেশে খাবার কিনতে হিমশিম আবস্থা ৬৮ শতাংশ মানুষের। মাছ-মাংস সহ পুষ্টিকর উপাদানসহ পর্যাপ্ত পরিমাণ খাবার খেতে পারছে মাত্র ১৭% শতাংশ পরিবার। এখনো ২ কোটি ১০ লাখ (১৩%) মানুষ কোনো পুষ্টিকর খাবার খেতে পান না। পুষ্টিকর খাবার না পেয়ে ৩৩% শিশুর শারীরিক বিকাশ ঠিকমতো হচ্ছে না। সুষম খাদ্য (আমিষ, শর্করা, স্নেহ, খনিজ লবণ, ভিটামিন, বিশুদ্ধ পানি) খেতে পারা আর দু'বেলা আলুভর্তা-ভাত খেয়ে জীবন ধারণ করা এক কথা নয়। শ্রমিক-কৃষক-দরিদ্র, এমনকি মধ্যবিত্ত শ্রেণিরও ঘুম হারাম করেছে নিত্য পণ্যের অব্যাহত উর্ধ্বগতি। যে হারে জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে, সে হারে মানুষের আয় বাড়ছে না। শিশু, গর্ভবতী নারীরা পুষ্টিকর খাবার খেতে পারছেন না। নারীরা অপুষ্টিতে ভুগছেন সবচেয়ে বেশি।
শ্রমিক শ্রেণি তাদের আয়ের ৬০ ভাগ খরচ করেন খাদ্যক্রয়ে। তার মধ্যে ৪০ ভাগ চলে যায় চাল ক্রয়ে। মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধির সাথে সাথে শ্রমিকের মজুরি শ্রমিকের কাছ থেকে মুনাফার দিকে ধাবিত হয়। ফলে আয় বৈষম্য তীব্রভাবে বাড়ে, মানুষের ক্রয়ক্ষমতা হ্রাস পায়। বিশেষজ্ঞদের মতে বর্তমানে ৪ সদস্যের একটা পরিবারে শুধুমাত্র সুষম খাদ্য সরবরাহে প্রতিমাসে প্রয়োজন প্রায় ১৯ হাজার টাকা। দিনমজুর, রিকশা চালক, গার্মেন্টস শ্রমিক কিংবা গৃহস্থালির কাজে নিযুক্ত মানুষের সর্বোচ্চ আয়ই এর অর্ধেক। মধ্যবিত্তরাও এই টাকা খরচ করতে হিমশিম খাচ্ছেন।
সরকারের ভাষ্যমতে দেশের মানুষ না খেয়ে থাকে না বা খাদ্যের অভাব নেই। কিন্তু অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন বলেছেন, "দুর্ভিক্ষে যত মানুষ মারা যায় তার চেয়ে বেশি মারা যায় পুষ্টিহীনতার কারণে"। বাংলাদেশও এদিকে ধাবিত হচ্ছে। মূল্যস্ফীতির সাথে সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীরা জনগণের পকেট কেটে নিজেদের পকেট ভরছে। সরকার তাদের নিয়ন্ত্রণ করছে না, কারণ তারাই তারা। এই ব্যবস্থার দ্বারা শ্রমিক-কৃষক-সাধারণ জনগণের দুর্ভোগ লাগব হবে না। নানানভাবেই সাধারণ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন, আর লাভবান হচ্ছে সাম্রাজ্যবাদ এবং দালাল মুৎসুদ্দি বুর্জোয়ারা।
শ্রমিক-কৃষক ও সাধারণ জনগণকে এই দুর্ভোগ থেকে রেহাই পেতে আওয়ামী ফ্যাসিবাদের উচ্ছেদ ও গণক্ষমতা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে নয়াগণতান্ত্রিক বিপ্লবের পথে হাঁটতে হবে। নতুবা এই ব্যবস্থায় পিষে মরতে হবে।
আরও খবর
- শনি
- রোব
- সোম
- মঙ্গল
- বুধ
- বৃহ
- শুক্র