• মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১ আশ্বিন ১৪৩১
  • ঢাকা, বাংলাদেশ

নারী এমপি-মন্ত্রীরা নিপীড়িত নারীদের প্রতিনিধি নয়

নারী এমপি-মন্ত্রীরা নিপীড়িত নারীদের প্রতিনিধি নয়

  আন্দোলন প্রতিবেদন  

সোমবার, ১৮ মার্চ ২০২৪  |  অনলাইন সংস্করণ

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মোট প্রার্থী ছিল ১৯৬৯ জন। তার মধ্যে নারী মাত্র ৯৪ জন, যা পুরুষের তুলনায় ৫%। ৯৪ জন নারী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও জয়ী হয়েছেন কেবল মাত্র ১৯ জন। ২০০৮-২০২৪ সাল পর্যন্ত সরাসরি ভোটে নির্বাচিত নারীর সংখ্যা ১৮-২২ জনের মধ্যে। ২০২০ সালের মধ্যে বুর্জোয়া রাজনৈতিক দলের সব কমিটিতে ৩৩% নারী সদস্য রাখার বাধ্যবাধকতা আরোপ করা হলেও হাসিনা সরকার তা করতে ব্যর্থ হয়েছে। সংসদে ৫০টি সংরক্ষিত নারী আসন আছে। তারা সরাসরি ভোটে নির্বাচিত হন না। তাদের নির্বাচন করা হয় রাজনৈতিক দলগুলোর সংসদে প্রাপ্ত আসনের অনুপাতে। অর্থাৎ প্রতি ছয় জনে একজন। এই নারীদের কোনো নির্বাচনী এলাকা নেই। তারা বুর্জোয়া সংসদের অলংকার হিসেবে শোভা বর্ধন করে মাত্র। যা নারীর জন্য অবমাননাকর। অথচ প্রগতিশীল এবং বুর্জোয়া গণতান্ত্রিক নারীদের দীর্ঘদিনের দাবি হচ্ছে নারী প্রতিনিধিদের বিভিন্ন সংস্থায় সরাসরি ভোটে নির্বাচিত হওয়ার। নারীর ক্ষমতায়নের গলাবাজি করা হলেও বর্তমান সংসদে সরাসরি ভোটে নির্বাচিত নারী সাংসদ ৬%-এর কম। 

গত তিন দশকের বেশি সময় ধরে বাংলাদেশের বুর্জোয়া রাজনীতি নিয়ন্ত্রণ করে নারী নেতৃত্বরা। সংসদ এবং সংসদের বাইরে গুরুত্বপূর্ণ পদেও নারীরা রয়েছে। কিন্তু বুর্জোয়া ব্যবস্থায় নারী প্রধানমন্ত্রী, নারী স্পিকার, নারী বিরোধী নেত্রী, কিংবা উচ্চপদে থাকা নারীরা নিপীড়িত নারীদের প্রতিনিধি নয়। তারা বুর্জোয়াশ্রেণির এবং এই ব্যবস্থার সুবিধাভোগী অংশ। নারীর ক্ষমতায়নের নামে নিপীড়িত নারীদের সাথে তারা প্রতারণা করে।

 নারীর ক্ষমতা প্রতিষ্ঠা করতে শ্রমিক-কৃষকসহ নিপীড়িত নারীদের ভণ্ড-প্রতারক নারী নেত্রীদের প্রত্যাখ্যান করতে হবে। এবং পুরুষতান্ত্রিক ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তনের জন্য রাষ্ট্রক্ষমতা দখলের বিপ্লবী রাজনীতিতে অংশগ্রহণ ও সংগ্রামে সামিল হতে হবে।

নারী এমপি-মন্ত্রীরা নিপীড়িত নারীদের প্রতিনিধি নয়

 আন্দোলন প্রতিবেদন 
সোমবার, ১৮ মার্চ ২০২৪  |  অনলাইন সংস্করণ

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মোট প্রার্থী ছিল ১৯৬৯ জন। তার মধ্যে নারী মাত্র ৯৪ জন, যা পুরুষের তুলনায় ৫%। ৯৪ জন নারী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও জয়ী হয়েছেন কেবল মাত্র ১৯ জন। ২০০৮-২০২৪ সাল পর্যন্ত সরাসরি ভোটে নির্বাচিত নারীর সংখ্যা ১৮-২২ জনের মধ্যে। ২০২০ সালের মধ্যে বুর্জোয়া রাজনৈতিক দলের সব কমিটিতে ৩৩% নারী সদস্য রাখার বাধ্যবাধকতা আরোপ করা হলেও হাসিনা সরকার তা করতে ব্যর্থ হয়েছে। সংসদে ৫০টি সংরক্ষিত নারী আসন আছে। তারা সরাসরি ভোটে নির্বাচিত হন না। তাদের নির্বাচন করা হয় রাজনৈতিক দলগুলোর সংসদে প্রাপ্ত আসনের অনুপাতে। অর্থাৎ প্রতি ছয় জনে একজন। এই নারীদের কোনো নির্বাচনী এলাকা নেই। তারা বুর্জোয়া সংসদের অলংকার হিসেবে শোভা বর্ধন করে মাত্র। যা নারীর জন্য অবমাননাকর। অথচ প্রগতিশীল এবং বুর্জোয়া গণতান্ত্রিক নারীদের দীর্ঘদিনের দাবি হচ্ছে নারী প্রতিনিধিদের বিভিন্ন সংস্থায় সরাসরি ভোটে নির্বাচিত হওয়ার। নারীর ক্ষমতায়নের গলাবাজি করা হলেও বর্তমান সংসদে সরাসরি ভোটে নির্বাচিত নারী সাংসদ ৬%-এর কম। 

গত তিন দশকের বেশি সময় ধরে বাংলাদেশের বুর্জোয়া রাজনীতি নিয়ন্ত্রণ করে নারী নেতৃত্বরা। সংসদ এবং সংসদের বাইরে গুরুত্বপূর্ণ পদেও নারীরা রয়েছে। কিন্তু বুর্জোয়া ব্যবস্থায় নারী প্রধানমন্ত্রী, নারী স্পিকার, নারী বিরোধী নেত্রী, কিংবা উচ্চপদে থাকা নারীরা নিপীড়িত নারীদের প্রতিনিধি নয়। তারা বুর্জোয়াশ্রেণির এবং এই ব্যবস্থার সুবিধাভোগী অংশ। নারীর ক্ষমতায়নের নামে নিপীড়িত নারীদের সাথে তারা প্রতারণা করে।

 নারীর ক্ষমতা প্রতিষ্ঠা করতে শ্রমিক-কৃষকসহ নিপীড়িত নারীদের ভণ্ড-প্রতারক নারী নেত্রীদের প্রত্যাখ্যান করতে হবে। এবং পুরুষতান্ত্রিক ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তনের জন্য রাষ্ট্রক্ষমতা দখলের বিপ্লবী রাজনীতিতে অংশগ্রহণ ও সংগ্রামে সামিল হতে হবে।

আরও খবর
 
শনি
রোব
সোম
মঙ্গল
বুধ
বৃহ
শুক্র