ধর্ষকদের মৃত্যুদণ্ডের আইন, ধর্ষণ বন্ধ হবে না

আন্দোলন প্রতিবেদন
রবিবার, ২৯ নভেম্বর ২০২০ | অনলাইন সংস্করণ
করোনার মত ভয়ঙ্কররূপে নারী ধর্ষণ-গণধর্ষণ-হত্যা-নির্যাতন বেড়ে চলেছে। প্রতিদিন অসংখ্য নারী নিপীড়নের ঘটনা ঘটছে। নুসরাত, খাদিজা, তনু’র মত কোন ঘটনায় আলোড়ন সৃষ্টি হলেই জনগণ জানতে পারেন। এবারেও সিলেটের এমসি কলেজে ঘটে যাওয়া গৃহবধুর ঘটনা এবং নেয়াখালীর বেগমগঞ্জের গৃহবধুকে বিবস্ত্র করে ধর্ষণ এবং ছবি ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়লে সারাদেশে ছাত্র-জনতার বিক্ষোভ ধুমায়িত হয়ে উঠে। তারা ধর্ষণ বন্ধের সঠিক পথ খুঁজেন, ঘৃণা ও হতাশা থেকে ধর্ষকদের শাস্তি হিসেবে মৃত্যুদণ্ডের দাবি তোলেন।
২৫ সেপ্টেম্বর সিলেটের এমসি কলেজে তরুণীর স্বামীকে আটকে রেখে গণধর্ষণ করে ছাত্রলীগকর্মীরা। বেগমগঞ্জের নারী ধর্ষণ-নির্যাতন ঘটনায় জড়িত আওয়ামী কেডার দেলোয়ার বাহিনী। দেশব্যাপী অসংখ্য নারী ধর্ষণ-নির্যাতনের ঘটনা আওয়ামী ক্ষমতাসীনদের নেতা-কর্মীরা ঘটাচ্ছে তা প্রমাণিত। দেশব্যাপী নারী, ছাত্র-জনতার বিক্ষোভ-আন্দোলন যখন তুঙ্গে, আওয়ামী ফ্যাসিবাদীরা তোপের মুখে এবং ধর্ষকদের মৃত্যুদণ্ডের দাবি উঠে, তখন বিভিন্ন নামের ধর্ষক-লীগ আন্দোলনের মাঠে নামে এবং আন্দোলনকে ছিনতাই করার অপচেষ্টায় তারাও ধর্ষকদের মৃত্যুদণ্ডের দাবি, এমনকি ক্রসফায়ারের দাবি তোলে। হাসিনা সরকারও সুযোগ বুঝে আন্দোলনকে প্রশমিত করতে ধর্ষকদের মৃত্যুদণ্ডের অধ্যাদেশ জারী করে।
ধর্ষণের জন্য ব্যক্তি ধর্ষকদের দায়ী করে মৃত্যুদণ্ডের আইন করা হয়েছে। কিন্তু তারা দায়ী হলেও ধর্ষণের জন্য মূল দায়ী হচ্ছে দেশের শাসকশ্রেণি, তাদের রাজনীতি-অর্থনীতি-সংস্কৃতি এবং নৈতিকতা। বর্তমানে ধর্ষকদের মদদদাতা প্রশ্রয়দাতা ও আশ্রয়দাতা হচ্ছে আওয়ামী ফ্যাসিবাদী সরকার, পুলিশ এবং স্থানীয় ক্ষমতাসীনরা। ব্যক্তি ধর্ষকদের মৃত্যুদণ্ড জারি করে এদের আড়াল করা হয়েছে। পুরুষতান্ত্রিক সমাজ, ধর্মীয় মূল্যবোধ, পুঁজিবাদ-সাম্রাজ্যবাদ নারীকে ভোগের বস্তু হিসেবে দেখে এবং সেভাবেই নারী-পুরুষকে মননে-মস্তিষ্কে সজ্জিত করে। সাম্রাজ্যবাদ-পুঁজিবাদ নারীকে এমনভাবে উপস্থাপন করে যেন নারী দোকানের কেনা-বেচার বস্তু। ভারতীয় সিনেমা, ব্লুফিল্ম, ইন্টারনেটে পর্ণ সাইট চালু রাখা, মাদক ব্যবসা ইত্যাদি পুঁজিবাদী-সাম্রাজ্যবাদীরাই করে থাকে। তারা তরুণ-যুবকদের মাদকে আসক্ত করে মাদকের রমরমা ব্যবসা করে। তরুণ-যুবকরা একদিকে মাদকে আসক্ত হয়, অন্যদিকে বুর্জোয়া অপসংস্কৃতিতে ডুবে যায়।
ধর্ষণ-গণধর্ষণ বা যৌন নির্যাতনের বেশিভাগ ঘটনা আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগের কর্মীদের দ্বারা সংঘটিত হচ্ছে। ভোট ডাকাতি ও গণবিরোধী ক্ষমতার জন্য আওয়ামী ফ্যাসিবাদী সরকার তাদের কেডার বাহিনীকে এই অপক্ষমতা দিয়েছে। এই ফ্যাসিবাদী ক্ষমতার দম্ভে তারা অন্যান্য দুর্নীতির-অপকর্মের মত নারী ধর্ষণের মহাউৎসবে মেতে উঠেছে। এই নরপিচাশদের কিছু ঘটনা যখন আলোড়ন সৃষ্টি করে তখন আওয়ামী লীগ বা তাদের অঙ্গ সংগঠনগুলো অভিযুক্তদের দল থেকে বহিস্কার করে এবং সেতুমন্ত্রী ওবায়েদুল কাদের হুংকার ছাড়ে অপরাধী যে দলেরই হোক না কেনো তাদেরকে ছাড় দেয়া হবে না। এভাবেই তারা ব্যক্তি ধর্ষককে দায়ী করে তাদের ফ্যাসিবাদী ক্ষমতা, দুর্নীতি, অপসংস্কৃতি, পুরুষতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থাকে আড়াল করে।
আমাদের দেশের বুর্জোয়া বুদ্ধিজীবীগণ, বুর্জোয়া নারী সংগঠন, মানবাধিকার কর্মী এমনকি বামপন্থী নামধারী সংগঠনগুলোও শুধু বিচারহীনতাকে দায়ী করে। দাবি করে দ্রুত বিচার ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার। তা হলেই নাকি নারীর প্রতি সহিংসতা বন্ধ হবে। যদিও ধর্ষণের মামলা খুব কম, মাত্র ৩%। এখন মৃত্যুদণ্ডের আইন করা হয়েছে। এছাড়া বাংলাদেশ এবং ভারতের সাংসদদের অনেকে ধর্ষকদের ক্রসফায়ারে দিয়ে হত্যার প্রস্তাব করেছিল। আর পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বলেছে রাসায়নিক প্রয়োগে অভিযুক্তের যৌন ক্ষমতা অকেজো করে দিয়ে ধর্ষণের মতো অপরাধের কার্যকর সাজা দেয়ার। অপরদিকে ধর্মীয় মৌলবাদীরা ধর্ষণের জন্য নারীদেরকেই মূলত দায়ী করে। কারণ তারাও এই ব্যবস্থারই অঙ্গ। পুঁজিবাদ নারীকে নগ্ন করে, মৌলবাদ নারীকে বোরকা পরায়- পার্থক্য এটাই।
ব্যক্তি ধর্ষকদের মৃত্যুদণ্ড দিলেও ধর্ষণ বন্ধ হবে না তা দেশে-বিদেশে বুর্জোয়া বুদ্ধিজীবী ও বিশেষজ্ঞগণ ইতিমধ্যে বলছেন। জাতিসংঘ মানবাধিকার বিষয়ক কমিশনার মিশেল ব্যাচলেট বলেছেন “ধর্ষণ ভয়ঙ্কর ও বড় ধরনের একটি অপরাধ..... তবে মৃত্যুদণ্ড কোনো সমাধান নয়”। এই যে এতবড় একটি আন্দোলন হয়ে গেল, মৃত্যুদণ্ডের অধ্যাদেশ হলো, কিন্তু ধর্ষণ ক্ষণিকের জন্যও বন্ধ হলো না, বরং অব্যাহত ভাবে চলছে। প্রতিদিন ১০/১৫টা ধর্ষণের খবর প্রকাশিত হচ্ছে। অপ্রকাশিত/অপ্রচারিত ধর্ষণের সংখ্যা এর বহুগুণ।
বিদ্যমান পুরুষতান্ত্রিক রাষ্ট্রযন্ত্র, নৈতিকতা, সংস্কৃতি বজায় রেখে কোনো সংস্কার বা ব্যক্তি অপরাধীদের/ব্যক্তি ধর্ষকদের মৃত্যুদণ্ড নারী ধর্ষণ-নির্যাতন বন্ধ করতে পারবে না। নারীর শত্রু সাম্রাজ্যবাদ-সম্প্রসারণবাদ-আমলা মুৎসুদ্দি পুঁজিবাদ-সামন্তবাদ-ধর্মীয় মৌলবাদ উচ্ছেদ ব্যতীত নারীর ধর্ষণ-নির্যাতন থেকে কোনো মুক্তি নেই।
আশুভাবে ধর্ষকদের আশ্রয়দাতা, মদদদাতা আওয়ামী ফ্যাসিবাদী সরকার, তাদের কেডার বাহিনী, পুলিশ-প্রশাসনের চরিত্র তুলে ধরা এবং তাদের বিচারের দাবি জোরালোভাবে তুলে ধরতে হবে। পাশাপাশি নতুন সমাজ সমাজতন্ত্র-কমিউনিজম ব্যবস্থা গড়ার লক্ষ্যে নিপীড়িত নারীদের ঐক্যবদ্ধ সংগ্রামে এগিয়ে আসতে হবে। একমাত্র সমাজতন্ত্র-সাম্যবাদই পারে নারীকে সকল ধরনের নির্যাতন থেকে মুক্তি দিতে।
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
ধর্ষকদের মৃত্যুদণ্ডের আইন, ধর্ষণ বন্ধ হবে না
করোনার মত ভয়ঙ্কররূপে নারী ধর্ষণ-গণধর্ষণ-হত্যা-নির্যাতন বেড়ে চলেছে। প্রতিদিন অসংখ্য নারী নিপীড়নের ঘটনা ঘটছে। নুসরাত, খাদিজা, তনু’র মত কোন ঘটনায় আলোড়ন সৃষ্টি হলেই জনগণ জানতে পারেন। এবারেও সিলেটের এমসি কলেজে ঘটে যাওয়া গৃহবধুর ঘটনা এবং নেয়াখালীর বেগমগঞ্জের গৃহবধুকে বিবস্ত্র করে ধর্ষণ এবং ছবি ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়লে সারাদেশে ছাত্র-জনতার বিক্ষোভ ধুমায়িত হয়ে উঠে। তারা ধর্ষণ বন্ধের সঠিক পথ খুঁজেন, ঘৃণা ও হতাশা থেকে ধর্ষকদের শাস্তি হিসেবে মৃত্যুদণ্ডের দাবি তোলেন।
২৫ সেপ্টেম্বর সিলেটের এমসি কলেজে তরুণীর স্বামীকে আটকে রেখে গণধর্ষণ করে ছাত্রলীগকর্মীরা। বেগমগঞ্জের নারী ধর্ষণ-নির্যাতন ঘটনায় জড়িত আওয়ামী কেডার দেলোয়ার বাহিনী। দেশব্যাপী অসংখ্য নারী ধর্ষণ-নির্যাতনের ঘটনা আওয়ামী ক্ষমতাসীনদের নেতা-কর্মীরা ঘটাচ্ছে তা প্রমাণিত। দেশব্যাপী নারী, ছাত্র-জনতার বিক্ষোভ-আন্দোলন যখন তুঙ্গে, আওয়ামী ফ্যাসিবাদীরা তোপের মুখে এবং ধর্ষকদের মৃত্যুদণ্ডের দাবি উঠে, তখন বিভিন্ন নামের ধর্ষক-লীগ আন্দোলনের মাঠে নামে এবং আন্দোলনকে ছিনতাই করার অপচেষ্টায় তারাও ধর্ষকদের মৃত্যুদণ্ডের দাবি, এমনকি ক্রসফায়ারের দাবি তোলে। হাসিনা সরকারও সুযোগ বুঝে আন্দোলনকে প্রশমিত করতে ধর্ষকদের মৃত্যুদণ্ডের অধ্যাদেশ জারী করে।
ধর্ষণের জন্য ব্যক্তি ধর্ষকদের দায়ী করে মৃত্যুদণ্ডের আইন করা হয়েছে। কিন্তু তারা দায়ী হলেও ধর্ষণের জন্য মূল দায়ী হচ্ছে দেশের শাসকশ্রেণি, তাদের রাজনীতি-অর্থনীতি-সংস্কৃতি এবং নৈতিকতা। বর্তমানে ধর্ষকদের মদদদাতা প্রশ্রয়দাতা ও আশ্রয়দাতা হচ্ছে আওয়ামী ফ্যাসিবাদী সরকার, পুলিশ এবং স্থানীয় ক্ষমতাসীনরা। ব্যক্তি ধর্ষকদের মৃত্যুদণ্ড জারি করে এদের আড়াল করা হয়েছে। পুরুষতান্ত্রিক সমাজ, ধর্মীয় মূল্যবোধ, পুঁজিবাদ-সাম্রাজ্যবাদ নারীকে ভোগের বস্তু হিসেবে দেখে এবং সেভাবেই নারী-পুরুষকে মননে-মস্তিষ্কে সজ্জিত করে। সাম্রাজ্যবাদ-পুঁজিবাদ নারীকে এমনভাবে উপস্থাপন করে যেন নারী দোকানের কেনা-বেচার বস্তু। ভারতীয় সিনেমা, ব্লুফিল্ম, ইন্টারনেটে পর্ণ সাইট চালু রাখা, মাদক ব্যবসা ইত্যাদি পুঁজিবাদী-সাম্রাজ্যবাদীরাই করে থাকে। তারা তরুণ-যুবকদের মাদকে আসক্ত করে মাদকের রমরমা ব্যবসা করে। তরুণ-যুবকরা একদিকে মাদকে আসক্ত হয়, অন্যদিকে বুর্জোয়া অপসংস্কৃতিতে ডুবে যায়।
ধর্ষণ-গণধর্ষণ বা যৌন নির্যাতনের বেশিভাগ ঘটনা আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগের কর্মীদের দ্বারা সংঘটিত হচ্ছে। ভোট ডাকাতি ও গণবিরোধী ক্ষমতার জন্য আওয়ামী ফ্যাসিবাদী সরকার তাদের কেডার বাহিনীকে এই অপক্ষমতা দিয়েছে। এই ফ্যাসিবাদী ক্ষমতার দম্ভে তারা অন্যান্য দুর্নীতির-অপকর্মের মত নারী ধর্ষণের মহাউৎসবে মেতে উঠেছে। এই নরপিচাশদের কিছু ঘটনা যখন আলোড়ন সৃষ্টি করে তখন আওয়ামী লীগ বা তাদের অঙ্গ সংগঠনগুলো অভিযুক্তদের দল থেকে বহিস্কার করে এবং সেতুমন্ত্রী ওবায়েদুল কাদের হুংকার ছাড়ে অপরাধী যে দলেরই হোক না কেনো তাদেরকে ছাড় দেয়া হবে না। এভাবেই তারা ব্যক্তি ধর্ষককে দায়ী করে তাদের ফ্যাসিবাদী ক্ষমতা, দুর্নীতি, অপসংস্কৃতি, পুরুষতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থাকে আড়াল করে।
আমাদের দেশের বুর্জোয়া বুদ্ধিজীবীগণ, বুর্জোয়া নারী সংগঠন, মানবাধিকার কর্মী এমনকি বামপন্থী নামধারী সংগঠনগুলোও শুধু বিচারহীনতাকে দায়ী করে। দাবি করে দ্রুত বিচার ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার। তা হলেই নাকি নারীর প্রতি সহিংসতা বন্ধ হবে। যদিও ধর্ষণের মামলা খুব কম, মাত্র ৩%। এখন মৃত্যুদণ্ডের আইন করা হয়েছে। এছাড়া বাংলাদেশ এবং ভারতের সাংসদদের অনেকে ধর্ষকদের ক্রসফায়ারে দিয়ে হত্যার প্রস্তাব করেছিল। আর পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বলেছে রাসায়নিক প্রয়োগে অভিযুক্তের যৌন ক্ষমতা অকেজো করে দিয়ে ধর্ষণের মতো অপরাধের কার্যকর সাজা দেয়ার। অপরদিকে ধর্মীয় মৌলবাদীরা ধর্ষণের জন্য নারীদেরকেই মূলত দায়ী করে। কারণ তারাও এই ব্যবস্থারই অঙ্গ। পুঁজিবাদ নারীকে নগ্ন করে, মৌলবাদ নারীকে বোরকা পরায়- পার্থক্য এটাই।
ব্যক্তি ধর্ষকদের মৃত্যুদণ্ড দিলেও ধর্ষণ বন্ধ হবে না তা দেশে-বিদেশে বুর্জোয়া বুদ্ধিজীবী ও বিশেষজ্ঞগণ ইতিমধ্যে বলছেন। জাতিসংঘ মানবাধিকার বিষয়ক কমিশনার মিশেল ব্যাচলেট বলেছেন “ধর্ষণ ভয়ঙ্কর ও বড় ধরনের একটি অপরাধ..... তবে মৃত্যুদণ্ড কোনো সমাধান নয়”। এই যে এতবড় একটি আন্দোলন হয়ে গেল, মৃত্যুদণ্ডের অধ্যাদেশ হলো, কিন্তু ধর্ষণ ক্ষণিকের জন্যও বন্ধ হলো না, বরং অব্যাহত ভাবে চলছে। প্রতিদিন ১০/১৫টা ধর্ষণের খবর প্রকাশিত হচ্ছে। অপ্রকাশিত/অপ্রচারিত ধর্ষণের সংখ্যা এর বহুগুণ।
বিদ্যমান পুরুষতান্ত্রিক রাষ্ট্রযন্ত্র, নৈতিকতা, সংস্কৃতি বজায় রেখে কোনো সংস্কার বা ব্যক্তি অপরাধীদের/ব্যক্তি ধর্ষকদের মৃত্যুদণ্ড নারী ধর্ষণ-নির্যাতন বন্ধ করতে পারবে না। নারীর শত্রু সাম্রাজ্যবাদ-সম্প্রসারণবাদ-আমলা মুৎসুদ্দি পুঁজিবাদ-সামন্তবাদ-ধর্মীয় মৌলবাদ উচ্ছেদ ব্যতীত নারীর ধর্ষণ-নির্যাতন থেকে কোনো মুক্তি নেই।
আশুভাবে ধর্ষকদের আশ্রয়দাতা, মদদদাতা আওয়ামী ফ্যাসিবাদী সরকার, তাদের কেডার বাহিনী, পুলিশ-প্রশাসনের চরিত্র তুলে ধরা এবং তাদের বিচারের দাবি জোরালোভাবে তুলে ধরতে হবে। পাশাপাশি নতুন সমাজ সমাজতন্ত্র-কমিউনিজম ব্যবস্থা গড়ার লক্ষ্যে নিপীড়িত নারীদের ঐক্যবদ্ধ সংগ্রামে এগিয়ে আসতে হবে। একমাত্র সমাজতন্ত্র-সাম্যবাদই পারে নারীকে সকল ধরনের নির্যাতন থেকে মুক্তি দিতে।
আরও খবর
- শনি
- রোব
- সোম
- মঙ্গল
- বুধ
- বৃহ
- শুক্র