বাজারে আগুন, রাস্তায় চরম জনদুর্ভোগ
বিগত প্রায় দু’বছর করোনার প্রাদুর্ভাব, সরকারের গণবিরোধী নীতি ও অব্যবস্থাপনায় জনজীবন বিধ্বস্ত। এই সময়ে জনগণ কাজ হারিয়ে বেকার হলেও হু হু করে বেড়ে চলেছে নিত্য পণ্যের দাম। তথাকথিত জনবান্ধব সরকার সম্প্রতি জনজীবন বিধ্বস্ত করার আরেকটি গণবিরোধী সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যেখানে দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছেন জনগণ, সেখানে মরার উপর খাঁড়ার ঘা হিসেবে ডিজেল ও কেরোসিনের দাম বৃদ্ধি করেছে সরকার।
সরকার মালিকদের স্বার্থে বাস ভাড়া ২৭% এবং লঞ্চ ভাড়া ৩৫% বাড়িয়েছে। মালিকরা গেটলক, সিটিং সার্ভিসের নামে এর চেয়ে বেশি ভাড়া আদায় করছে। তারা শ্রমিকদেরকে বাড়তি ভাড়া আদায়ে বাধ্য করছে। সরকার-মালিক ষড়যন্ত্র করে শ্রমিক-জনতার মধ্যে ঝগড়া বাধিয়ে নিজেরা ফায়দা লুটছে। শুধু বাস ভাড়া, লঞ্চ ভাড়াই বাড়েনি, বাড়ছে কৃষিতে সেচ, বিদ্যুৎ ও বাড়ি ভাড়া। পণ্য পরিবহন ভাড়া বৃদ্ধির অজুহাতে বাড়ছে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যও।
মহামারীর প্রথম দিকেই বেড়েছে গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম। কিছুদিন আগে সিলিন্ডার গ্যাসের দাম এক লাফে প্রায় ৩০০ টাকা বাড়িয়ে দেয়ায় গৃহস্থালির খরচ চালাতে দরিদ্র পরিবার তো বটেই, মধ্যবিত্ত গৃহিনীরা পর্যন্ত হাসফাঁশ করছেন। সরকার আবারো বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধির পাঁয়তারা করছে। এর সাথে পাল্লা দিয়ে বেড়ে চলেছে দ্রব্যমূল্য। আওয়ামী ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে বিভিন্ন অজুহাতে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি করে। এই আওয়ামী ব্যবসায়ীরাই সরকার নিয়ন্ত্রণ করে। তাই আওয়ামী সরকার তাদের নিয়ন্ত্রণ করতে অক্ষম।
এই রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থায় জনগণ স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতে পারবে না কোনো দিন। ফ্যাসিবাদী আওয়ামী সরকার একে আরো খারাপ অবস্থায় নিয়ে যাচ্ছে। আর মুখে উন্নয়নের বুলি কপচাচ্ছে। এদেরকে ও এ ব্যবস্থাকে উচ্ছেদ না করলে জনগণের কোনো মুক্তি নেই।
কিছু তথ্য
* বিশ্ববাজারে দর যখন কম ছিল, তখন জ্বালানির দাম কমানো হয়নি, সরকার জ্বালানি তেলে গত সাত বছরে ৪০ হাজার কোটি টাকা মুনাফা করেছে।
* এ বছর ৩ কোটি ২ লাখ ৯১ হাজার বিঘা জমিতে বোরো ধানের চাষ হবে। এর মধ্যে ৭০ শতাংশ জমির চাষ ডিজেলচালিত সেচযন্ত্র নির্ভর। ফলে কৃষকদের উৎপাদন খরচ বিরাটভাবে বেড়ে যাবে।
* করোনাকালে নতুন দরিদ্র ৩ কোটি ২৪ লাখ (তথ্য বিআইজিডি)। ১ কোটি ৬৪ লক্ষ মানুষ দারিদ্রসীমার নিচে নেমে গেছে। কোটিপতি বেড়েছে ১১ হাজার ৬৪৭ জন।
* মাথাপিছু আয় “শনৈ শনৈ বৃদ্ধি পাচ্ছে, রাত পোহালেই আয় বাড়ছে বাংলাদেশের, .......। আমরা অজান্তেই বড়লোক হয়ে যাচ্ছি।”- পরিকল্পনা মন্ত্রী।
আওয়াজ তুলুন-
* শ্রমিক-ছাত্র ঐক্য গড়! পরিবহণ মালিক ও সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই কর!
* জ্বালানি তেল, গ্যাস, বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি চলবে না!
* পরিবহণে ছাত্র ও শিল্প-শ্রমিকদের হাফ-পাস দিতে হবে!
* দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির সাথে মিলিয়ে সকল সেক্টরে শ্রমিকদের বেতন বাড়াতে হবে!
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
বাজারে আগুন, রাস্তায় চরম জনদুর্ভোগ
বিগত প্রায় দু’বছর করোনার প্রাদুর্ভাব, সরকারের গণবিরোধী নীতি ও অব্যবস্থাপনায় জনজীবন বিধ্বস্ত। এই সময়ে জনগণ কাজ হারিয়ে বেকার হলেও হু হু করে বেড়ে চলেছে নিত্য পণ্যের দাম। তথাকথিত জনবান্ধব সরকার সম্প্রতি জনজীবন বিধ্বস্ত করার আরেকটি গণবিরোধী সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যেখানে দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছেন জনগণ, সেখানে মরার উপর খাঁড়ার ঘা হিসেবে ডিজেল ও কেরোসিনের দাম বৃদ্ধি করেছে সরকার।
সরকার মালিকদের স্বার্থে বাস ভাড়া ২৭% এবং লঞ্চ ভাড়া ৩৫% বাড়িয়েছে। মালিকরা গেটলক, সিটিং সার্ভিসের নামে এর চেয়ে বেশি ভাড়া আদায় করছে। তারা শ্রমিকদেরকে বাড়তি ভাড়া আদায়ে বাধ্য করছে। সরকার-মালিক ষড়যন্ত্র করে শ্রমিক-জনতার মধ্যে ঝগড়া বাধিয়ে নিজেরা ফায়দা লুটছে। শুধু বাস ভাড়া, লঞ্চ ভাড়াই বাড়েনি, বাড়ছে কৃষিতে সেচ, বিদ্যুৎ ও বাড়ি ভাড়া। পণ্য পরিবহন ভাড়া বৃদ্ধির অজুহাতে বাড়ছে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যও।
মহামারীর প্রথম দিকেই বেড়েছে গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম। কিছুদিন আগে সিলিন্ডার গ্যাসের দাম এক লাফে প্রায় ৩০০ টাকা বাড়িয়ে দেয়ায় গৃহস্থালির খরচ চালাতে দরিদ্র পরিবার তো বটেই, মধ্যবিত্ত গৃহিনীরা পর্যন্ত হাসফাঁশ করছেন। সরকার আবারো বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধির পাঁয়তারা করছে। এর সাথে পাল্লা দিয়ে বেড়ে চলেছে দ্রব্যমূল্য। আওয়ামী ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে বিভিন্ন অজুহাতে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি করে। এই আওয়ামী ব্যবসায়ীরাই সরকার নিয়ন্ত্রণ করে। তাই আওয়ামী সরকার তাদের নিয়ন্ত্রণ করতে অক্ষম।
এই রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থায় জনগণ স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতে পারবে না কোনো দিন। ফ্যাসিবাদী আওয়ামী সরকার একে আরো খারাপ অবস্থায় নিয়ে যাচ্ছে। আর মুখে উন্নয়নের বুলি কপচাচ্ছে। এদেরকে ও এ ব্যবস্থাকে উচ্ছেদ না করলে জনগণের কোনো মুক্তি নেই।
কিছু তথ্য
* বিশ্ববাজারে দর যখন কম ছিল, তখন জ্বালানির দাম কমানো হয়নি, সরকার জ্বালানি তেলে গত সাত বছরে ৪০ হাজার কোটি টাকা মুনাফা করেছে।
* এ বছর ৩ কোটি ২ লাখ ৯১ হাজার বিঘা জমিতে বোরো ধানের চাষ হবে। এর মধ্যে ৭০ শতাংশ জমির চাষ ডিজেলচালিত সেচযন্ত্র নির্ভর। ফলে কৃষকদের উৎপাদন খরচ বিরাটভাবে বেড়ে যাবে।
* করোনাকালে নতুন দরিদ্র ৩ কোটি ২৪ লাখ (তথ্য বিআইজিডি)। ১ কোটি ৬৪ লক্ষ মানুষ দারিদ্রসীমার নিচে নেমে গেছে। কোটিপতি বেড়েছে ১১ হাজার ৬৪৭ জন।
* মাথাপিছু আয় “শনৈ শনৈ বৃদ্ধি পাচ্ছে, রাত পোহালেই আয় বাড়ছে বাংলাদেশের, .......। আমরা অজান্তেই বড়লোক হয়ে যাচ্ছি।”- পরিকল্পনা মন্ত্রী।
আওয়াজ তুলুন-
* শ্রমিক-ছাত্র ঐক্য গড়! পরিবহণ মালিক ও সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই কর!
* জ্বালানি তেল, গ্যাস, বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি চলবে না!
* পরিবহণে ছাত্র ও শিল্প-শ্রমিকদের হাফ-পাস দিতে হবে!
* দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির সাথে মিলিয়ে সকল সেক্টরে শ্রমিকদের বেতন বাড়াতে হবে!
আরও খবর
- শনি
- রোব
- সোম
- মঙ্গল
- বুধ
- বৃহ
- শুক্র