নতুন পার্টি ‘গণ অধিকার পরিষদ’ নতুন কিছু নয়

আন্দোলন প্রতিবেদন
মঙ্গলবার, ৭ ডিসেম্বর ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
সম্প্রতি সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর ‘গণ অধিকার পরিষদ’নামের একটি নতুন পার্টির ঘোষণা দিয়েছেন। এর আহ্বায়ক হয়েছেন আওয়ামী লীগের সাবেক অর্থমন্ত্রী প্রয়াত জনাব কিবরিয়ার ছেলে রেজা কিবরিয়া। পরিষদের সদস্য সচিব হয়েছেন নুরুল হক (নুর)। রেজা কিবরিয়া আওয়ামী লীগের সাথে ক্ষমতার দ্বন্দ্বের অসন্তুষ্ট হয়ে প্রথমে বুর্জোয়া বিরোধী দল ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে গণফোরামে যোগ দেন। তাতে সুবিধা করতে না পেরে এখন নুরের পার্টির দায়িত্ব নিলেন।
বেশ কিছুদিন যাবত নুর নতুন পার্টি গঠন করবেন বলে আসছিলেন। সেটাই করলেন। নুর কোটা সংস্কার আন্দোলনের মধ্য দিয়ে উঠে আসেন। পরে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিপি হন। আগে তিনি আওয়ামী-ঘরানার কর্মীই ছিলেন। কিন্তু ছাত্রদের ন্যায়সঙ্গত আন্দোলনে তার বলিষ্ঠ ভূমিকা ছিল। আপসহীন আন্দোলনের কারণে তিনি বহুবার ছাত্রলীগ ও পুলিশের দ্বারা নির্যাতিত হয়েছেন। তিনি ভাসানীকে স্বাধীনতা আন্দোলনের নেতা হিসেবে তুলে ধরেন। এসব কারণে তার প্রতি অনেকের সহানুভূতি রয়েছে। দৃশ্যত তিনি বর্তমান আওয়ামী ফ্যাসিবাদকে বিরোধিতা করছেন। এগুলো তার ইতিবাচক অবস্থান।
কিন্তু আওয়ামী ফ্যাসিবাদ-বিরোধী আরো আরো ছোট ছোট অনেক বুর্জোয়া পার্টি রয়েছে। তাদের মতোই নুরের এ নতুন পার্টির গণমুখী নতুন কোনো কর্মসূচি দেখা যাচ্ছে না।
আজ তিনি যে পার্টি গঠন করেছেন, তা দিয়ে শ্রমিক-কৃষক নিপীড়িত জনগণের মুক্তির জন্য কোনো ভূমিকা রাখতে পারবেন না। কারণ তার পার্টির সাম্রাজ্যবাদ-সম্প্রসারণবাদ বিরোধী বা কোনো বিপ্লবী কর্মসূচি নেই। তাই সহজেই সাম্রাজ্যবাদ ও তার দালালদের কোনো না কোনো পক্ষ তার পার্টিকে ব্যবহার করতে পারবে।
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
নতুন পার্টি ‘গণ অধিকার পরিষদ’ নতুন কিছু নয়
সম্প্রতি সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর ‘গণ অধিকার পরিষদ’নামের একটি নতুন পার্টির ঘোষণা দিয়েছেন। এর আহ্বায়ক হয়েছেন আওয়ামী লীগের সাবেক অর্থমন্ত্রী প্রয়াত জনাব কিবরিয়ার ছেলে রেজা কিবরিয়া। পরিষদের সদস্য সচিব হয়েছেন নুরুল হক (নুর)। রেজা কিবরিয়া আওয়ামী লীগের সাথে ক্ষমতার দ্বন্দ্বের অসন্তুষ্ট হয়ে প্রথমে বুর্জোয়া বিরোধী দল ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে গণফোরামে যোগ দেন। তাতে সুবিধা করতে না পেরে এখন নুরের পার্টির দায়িত্ব নিলেন।
বেশ কিছুদিন যাবত নুর নতুন পার্টি গঠন করবেন বলে আসছিলেন। সেটাই করলেন। নুর কোটা সংস্কার আন্দোলনের মধ্য দিয়ে উঠে আসেন। পরে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিপি হন। আগে তিনি আওয়ামী-ঘরানার কর্মীই ছিলেন। কিন্তু ছাত্রদের ন্যায়সঙ্গত আন্দোলনে তার বলিষ্ঠ ভূমিকা ছিল। আপসহীন আন্দোলনের কারণে তিনি বহুবার ছাত্রলীগ ও পুলিশের দ্বারা নির্যাতিত হয়েছেন। তিনি ভাসানীকে স্বাধীনতা আন্দোলনের নেতা হিসেবে তুলে ধরেন। এসব কারণে তার প্রতি অনেকের সহানুভূতি রয়েছে। দৃশ্যত তিনি বর্তমান আওয়ামী ফ্যাসিবাদকে বিরোধিতা করছেন। এগুলো তার ইতিবাচক অবস্থান।
কিন্তু আওয়ামী ফ্যাসিবাদ-বিরোধী আরো আরো ছোট ছোট অনেক বুর্জোয়া পার্টি রয়েছে। তাদের মতোই নুরের এ নতুন পার্টির গণমুখী নতুন কোনো কর্মসূচি দেখা যাচ্ছে না।
আজ তিনি যে পার্টি গঠন করেছেন, তা দিয়ে শ্রমিক-কৃষক নিপীড়িত জনগণের মুক্তির জন্য কোনো ভূমিকা রাখতে পারবেন না। কারণ তার পার্টির সাম্রাজ্যবাদ-সম্প্রসারণবাদ বিরোধী বা কোনো বিপ্লবী কর্মসূচি নেই। তাই সহজেই সাম্রাজ্যবাদ ও তার দালালদের কোনো না কোনো পক্ষ তার পার্টিকে ব্যবহার করতে পারবে।
আরও খবর
- শনি
- রোব
- সোম
- মঙ্গল
- বুধ
- বৃহ
- শুক্র