শ্রমিক আন্দোলন দমনে হাসিনা সরকার গণবিরোধী অত্যাবশ্যকীয় পরিষেবা আইন করছে

আন্দোলন প্রতিবেদন
শুক্রবার, ১২ মে ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
হাসিনা-আওয়ামী সরকার গত ৬ এপ্রিল’২৩ জাতীয় সংসদ অধিবেশনে অত্যাবশ্যকীয় পরিষেবা বিল, ২০২৩ উত্থাপন করেছে। পরে তা শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্তণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটিতে পাঠানো হয়। বিভিন্ন ট্রেড ইউনিয়নগুলো এবং প্রগতিশীল রাজনৈতিক দলগুলো এই বিলের তীব্র বিরোধিতা করেছে। তারা অবিলম্বে এই বিল বাতিলের দাবি করেছেন।
এই বিলে বলা হয়েছে, সরকার জনস্বার্থে প্রয়োজন মনে করলে কোনো প্রতিষ্ঠানে লকআউট ও লেঅফ/নিষিদ্ধ ঘোষণা করতে পারবে। এবং অত্যাবশ্যক পরিষেবার ক্ষেত্রে ধর্মঘট নিষিদ্ধ করতে পারবে। সেই সঙ্গে কোনো ব্যক্তি বেআইনি ধর্মঘট শুরু করলে বা চলমান রাখলে, সমর্থন করলে, ধর্মঘটের জন্য জনসমর্থন আদায়ের চেষ্টা করলে, আর্থিক সহযোগিতা করলে সর্বোচ্চ ৬ মাসের কারাদণ্ড বা ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অথবা উভয়দণ্ডে দণ্ডিত হবেন। আরো বলা হয়েছে, আইনটির সাথে শ্রম আইনের কোনো ধারা সাংঘর্ষিক হলে পরিষেবা আইনটি প্রাধান্য পাবে। অর্থাৎ সরকার ফ্যাসিবাদী পরিষেবা আইনটি প্রয়োগ করতে পারবে। যেখানে বুর্জোয়া আইনগত বাধাটিও আর থাকবে না।
অত্যাবশ্যক পরিষেবার মধ্যে রয়েছে বিদ্যুৎ উৎপাদন ও বিতরণ সংক্রান্ত কার্যক্রম, ডাক ও টেলিযোগাযোগ, রেলপথ, নৌ, সড়ক ও আকাশপথে যাত্রী ও পণ্য পরিবহণসহ আরও অনেক খাত। তাছাড়া সরকার প্রয়োজন মনে করলে উল্লেখিত খাত ছাড়াও যেকোনো খাতকে অত্যাবশ্যকীয় পরিষেবার অন্তর্ভুক্ত করে ধর্মঘট নিষিদ্ধ করতে পারবে।
ফ্যাসিবাদী সরকার ইতোপূর্বে ডিজিটাল দুনিয়ায় তাদের নিরাপদ করতে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন করেছে। বর্তমানে এটি যত্র তত্র প্রয়োগ করছে। গণবিরোধী সরকার উন্নয়নের নাম করে নিত্যপণ্যের দাম আকাশ ছোঁয়া করেছে। ফলে শ্রমিক অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। হাসিনা সরকার জানে অসন্তুষ্ট শ্রমিকরা বিদ্রোহ করলে তার মসনদ টলে উঠবে। তাই ফ্যাসিবাদী আইন করে, মামলা-হামলা করে আসন্ন শ্রমিক আন্দোলন দমাতে এই গণবিরোধী আইন করার পাঁয়তারা করছে।
সর্বস্তরের শ্রমিক-জনতাকে ফ্যাসিবাদী সরকার অবসান এবং নিজেদের ক্ষমতা প্রতিষ্ঠার বিপ্লবী সংগ্রাম বেগবান করেই এই গণবিরোধী আইন প্রতিহত করতে হবে।
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
শ্রমিক আন্দোলন দমনে হাসিনা সরকার গণবিরোধী অত্যাবশ্যকীয় পরিষেবা আইন করছে
হাসিনা-আওয়ামী সরকার গত ৬ এপ্রিল’২৩ জাতীয় সংসদ অধিবেশনে অত্যাবশ্যকীয় পরিষেবা বিল, ২০২৩ উত্থাপন করেছে। পরে তা শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্তণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটিতে পাঠানো হয়। বিভিন্ন ট্রেড ইউনিয়নগুলো এবং প্রগতিশীল রাজনৈতিক দলগুলো এই বিলের তীব্র বিরোধিতা করেছে। তারা অবিলম্বে এই বিল বাতিলের দাবি করেছেন।
এই বিলে বলা হয়েছে, সরকার জনস্বার্থে প্রয়োজন মনে করলে কোনো প্রতিষ্ঠানে লকআউট ও লেঅফ/নিষিদ্ধ ঘোষণা করতে পারবে। এবং অত্যাবশ্যক পরিষেবার ক্ষেত্রে ধর্মঘট নিষিদ্ধ করতে পারবে। সেই সঙ্গে কোনো ব্যক্তি বেআইনি ধর্মঘট শুরু করলে বা চলমান রাখলে, সমর্থন করলে, ধর্মঘটের জন্য জনসমর্থন আদায়ের চেষ্টা করলে, আর্থিক সহযোগিতা করলে সর্বোচ্চ ৬ মাসের কারাদণ্ড বা ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অথবা উভয়দণ্ডে দণ্ডিত হবেন। আরো বলা হয়েছে, আইনটির সাথে শ্রম আইনের কোনো ধারা সাংঘর্ষিক হলে পরিষেবা আইনটি প্রাধান্য পাবে। অর্থাৎ সরকার ফ্যাসিবাদী পরিষেবা আইনটি প্রয়োগ করতে পারবে। যেখানে বুর্জোয়া আইনগত বাধাটিও আর থাকবে না।
অত্যাবশ্যক পরিষেবার মধ্যে রয়েছে বিদ্যুৎ উৎপাদন ও বিতরণ সংক্রান্ত কার্যক্রম, ডাক ও টেলিযোগাযোগ, রেলপথ, নৌ, সড়ক ও আকাশপথে যাত্রী ও পণ্য পরিবহণসহ আরও অনেক খাত। তাছাড়া সরকার প্রয়োজন মনে করলে উল্লেখিত খাত ছাড়াও যেকোনো খাতকে অত্যাবশ্যকীয় পরিষেবার অন্তর্ভুক্ত করে ধর্মঘট নিষিদ্ধ করতে পারবে।
ফ্যাসিবাদী সরকার ইতোপূর্বে ডিজিটাল দুনিয়ায় তাদের নিরাপদ করতে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন করেছে। বর্তমানে এটি যত্র তত্র প্রয়োগ করছে। গণবিরোধী সরকার উন্নয়নের নাম করে নিত্যপণ্যের দাম আকাশ ছোঁয়া করেছে। ফলে শ্রমিক অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। হাসিনা সরকার জানে অসন্তুষ্ট শ্রমিকরা বিদ্রোহ করলে তার মসনদ টলে উঠবে। তাই ফ্যাসিবাদী আইন করে, মামলা-হামলা করে আসন্ন শ্রমিক আন্দোলন দমাতে এই গণবিরোধী আইন করার পাঁয়তারা করছে।
সর্বস্তরের শ্রমিক-জনতাকে ফ্যাসিবাদী সরকার অবসান এবং নিজেদের ক্ষমতা প্রতিষ্ঠার বিপ্লবী সংগ্রাম বেগবান করেই এই গণবিরোধী আইন প্রতিহত করতে হবে।
আরও খবর
- শনি
- রোব
- সোম
- মঙ্গল
- বুধ
- বৃহ
- শুক্র