• বৃহঃস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৫, ৩০ আশ্বিন ১৪৩২
  • ঢাকা, বাংলাদেশ

ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি(মাওবাদী)’র শীর্ষ নেতা শহিদ কমরেড বাসবরাজসহ  “অপারেশন কাগার”-এ সকল শহিদের স্মরণ ও প্রতিবাদ সভা সফলভাবে অনুষ্ঠিত

ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি(মাওবাদী)’র শীর্ষ নেতা শহিদ কমরেড বাসবরাজসহ  “অপারেশন কাগার”-এ সকল শহিদের স্মরণ ও প্রতিবাদ সভা সফলভাবে অনুষ্ঠিত

  আন্দোলন প্রতিবেদন  

সোমবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫  |  অনলাইন সংস্করণ

১৮ জুলাই ২০২৫, ঢাকায় “শিশু কল্যাণ পরিষদ মিলনায়তন”-এ সিপিআই(মাওবাদী)'র সাধারণ সম্পাদক মহান মাওবাদী নেতা শহিদ কমরেড বাসবরাজসহ মাওবাদী ও আদিবাসীদের গণহত্যার প্রতিবাদে “ভারতে মাওবাদী ও আদিবাসী গণহত্যা-বিরোধী প্রতিবাদ কমিটি, বাংলাদেশ”-এর উদ্যোগে স্মরণ ও প্রতিবাদসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আন্তর্জাতিক সংগীতের মধ্য দিয়ে স্মরণ এবং প্রতিবাদ সভা শুরু হয়। তারপর অপারেশন কাগার সহ ফিলিস্তিন ও সারা বিশ্বে অন্যায় যুদ্ধে শহিদদের স্মরণে ১ মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।   শহিদ কমরেড বাসবরাজের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে মূল আলোচনা সভা শুরু হয়। মাওবাদী কবি হাসান ফকরীর সভাপতিত্বে এবং বিপ্লবী ছাত্র-যুব আন্দোলনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতির সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন খনন পত্রিকার সম্পাদক বাদল শাহ আলম, সমাজতান্ত্রিক বুদ্ধিজীবী সংঘের সদস্য সচিব আফজালুল বাশার, জাতীয় গণফ্রন্টের ভারপ্রাপ্ত সমন্বয়ক রজত হুদা, মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ডা. হারুন-অর-রশিদ, শহিদ বিপ্লবী ও দেশপ্রেমিক স্মৃতি সংসদের সদস্য সৈয়দ আবুল কালাম, জাতীয় গণতান্ত্রিক গণমঞ্চের সভাপতি মাসুদ খান, নয়াগণতান্ত্রিক গণমোর্চার সভাপতি জাফর হোসেন, বিপ্লবী ছাত্র-যুব আন্দোলন ঢাকা মহানগরের আহ্বায়ক নাঈম উদ্দিন প্রমুখ। আলোচনা সভা শেষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং লাল পতাকা, ফেস্টুন, ব্যানার সজ্জিত মিছিল পুরানা পল্টন, প্রেসক্লাব, দোয়েল চত্তর হয়ে টিএসসি’র রাজু ভাস্কর্যে গিয়ে পথসভার মধ্য দিয়ে শেষ হয়।  কমরেড বাসবরাজসহ শহিদদের স্মরণ এবং বিচারবহির্ভূত হত্যার প্রতিবাদে দেশে দেশে জনগণ বিদ্রোহ ও সংগ্রাম করছেন। বাংলাদেশ, ইতালি, গ্রিস, তুরস্ক, ফ্রান্স, অস্ট্রেলিয়া, ব্রাজিল, ফিলিপাইন, নেপালসহ বিভিন্ন দেশের কমিউনিস্ট পার্টি এবং সচেতন নাগরিক সমাজ শহিদদের স্মরণ সভা ও “অপারেশন কাগার” বন্ধের দাবিতে আন্দোলন করছেন। ভারতের বিভিন্ন প্রদেশের প্রগতিশীল ব্যক্তিত্বরা “অপারেশন কাগার” বন্ধের দাবিতে আন্দোলন করছেন। ভারত রাষ্ট্র যাদের মৃতদেহ ফিরিয়ে দিচ্ছে, তাদের শেষকৃত্য অনুষ্ঠানে হাজার হাজার জনগণ ঐক্যবদ্ধ হয়ে শেষ শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করছেন এবং সরকারের প্রতি ধিক্কার জানাচ্ছেন।  সিপিআই(মাওবাদী) কেবল একটি নাম নয়, তা এক জ্বলন্ত লাল আগ্নেয়গিরি। যেখানে হাজার হাজার শহিদের রক্তের ইতিহাস তৈরি হয়েছে। শহিদ কমরেড বাসবরাজ ছিলেন সেই লাল আগুনের অগ্রনায়ক। গত ২১ মে’২৫ সিপিআই (মাওবাদী)’র সাধারণ সম্পাদক কমরেড বাসবরাজ সহ ৩৫ জনের একটি গেরিলা ইউনিটকে ভারতের হিন্দুত্ববাদী  ফ্যাসিস্ট মোদি সরকার ২০ হাজার সৈন্যবাহিনী দিয়ে ঘেরাও করে ৬০ ঘণ্টার অসম যুদ্ধ শেষে গ্রেপ্তার করে। গ্রেফতারের পর বিনাবিচারে তাঁকে সহ ২৮ জন মাওবাদী নেতা-কমান্ডার-গেরিলাদের ঠান্ডা মাথায় হত্যা করেছে। এ ছাড়াও কেন্দ্রীয় ও গুরুত্বপূর্ণ নেতৃত্ব কমরেড সুধাকর, ভাস্কর, অরুণাসহ কর্মী-গেরিলা-জনগণকে হত্যা করেছে।   শহিদ কমরেড বাসবরাজ ওরফে নাম্বালা কেশব রাও ১৯৫৫ সালের ১০ জুলাই অন্ধ্র প্রদেশের শ্রীকাকুলাম জেলার কোটা বোম্মালি মণ্ডলের জিয়ান্নাপেট গ্রামে মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। ছাত্রাবস্থায় ’৭০-র দশকের শ্রীকাকুলাম কৃষক আন্দোলনের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে মাওবাদী মতাদর্শের প্রতি আকৃষ্ট হন।   তিনি ’৮০-র দশকে পেশাদার বিপ্লবী হিসেবে বাড়ি ছেড়েছিলেন। ৮০-র দশকে পার্টির নেতৃত্বাধীন সশস্ত্র বাহিনীর কমান্ডার হিসেবে পূর্ব গোদাবরী জেলায় নিয়োগ হন এবং পরবর্তীতে তিনি দণ্ডকারণ্য আন্দোলন গড়ে তোলার দায়িত্বে নিয়োজিত হন।   কেন্দ্রীয় সামরিক কমিশন-এর প্রধান হিসেবে তিনি বিপ্লবী আন্দোলনের অনেক সামরিক বিজয়ের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। তিনি উচ্চতর সামরিক কাঠামো, পিপলস লিবারেশন গেরিলা আর্মি (পিএলজিএ) প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। ভারতের মাওবাদীদের ঐক্যবদ্ধ করে সিপিআই (মাওবাদী) পার্টি গঠনে অন্যান্য নেতাদের সাথে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। দণ্ডকারণ্যে গেরিলা ঘাঁটি স্থাপন এবং গণক্ষমতার গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলো প্রতিষ্ঠার মতো রাজনৈতিক সিদ্ধান্তেও তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন।  ২০১৮ সালে ৬৩ বছর বয়সে কমরেড বাসবরাজ দলের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন এবং কঠিন সংকটময় পরিস্থিতিতে তিনি দলের নেতৃত্ব দিয়েছেন। ৭০ বছর বয়সে যুদ্ধ করতে করতেই তিনি শহিদের মৃত্যুবরণ করেন।  কমরেড বাসবরাজ শ্রমিক-কৃষক সহ নিপীড়িত জনগণের ন্যায়সঙ্গত অধিকার ও শোষণমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য পাঁচ-দশক ধরে নিরন্তর সংগ্রাম চালিয়ে গেছেন। সিপিআই(মাওবাদী) মার্কসবাদ-লেনিনবাদ-মাওবাদের আদর্শের ভিত্তিতে ভারত থেকে সকল সাম্রাজ্যবাদ, দালাল আমলা-মুৎসুদ্দি পুঁজিবাদ ও সামন্তবাদ উচ্ছেদ এবং সমাজতন্ত্র-কমিউনিজম ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে শ্রমিকশ্রেণির নেতৃত্বে শ্রমিক-কৃষক-মধ্যবিত্ত এবং আদিবাসী জনগণের গণক্ষমতা প্রতিষ্ঠার নয়াগণতান্ত্রিক বিপ্লবে নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন। তারই অংশ হিসেবে ভারতের দন্ডকারণ্যে জনতার সরকার ও পাল্টা প্রশাসন প্রতিষ্ঠা করেছেন।   ১৯৬৭ সালে শহিদ কমরেড চারু মজুমদারের নেতৃত্বে নকশালবাড়িতে এই সংগ্রামের সূচনা হয়েছিল। বহু চড়াই-উৎরাইয়ের মধ্যদিয়ে সিপিআই (মাওবাদী) আজ সংগ্রামের এ পর্যায়ে উত্তীর্ণ হয়েছে। বহু রাজ্যের অনেক অনেক জেলায় বিপ্লবী সংগ্রামের বিস্তার ঘটিয়েছে। গণযুদ্ধ ও গণসংগ্রামের মধ্য দিয়ে শাসকশ্রেণির ক্ষমতার ভিত কাঁপিয়ে দিয়েছে। তাই ভীত-সন্ত্রস্ত শাসকশ্রেণি আজ বিভিন্ন সামরিক অভিযান চালিয়ে মাওবাদী পার্টিকে নিশ্চিহ্ন করতে চাচ্ছে। কিন্তু বিপ্লবীদের মৃত্যুতে বিপ্লব ধ্বংস হয় না, কমরেড চারু মজুমদারের মৃত্যুতেও ধ্বংস হয় নি, কমরেড বাসবরাজের মৃত্যুতেও ধ্বংস হবে না। তিনি চিরকাল নির্যাতিত জনগণের হৃদয়ে বেঁচে থাকবেন।

ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি(মাওবাদী)’র শীর্ষ নেতা শহিদ কমরেড বাসবরাজসহ  “অপারেশন কাগার”-এ সকল শহিদের স্মরণ ও প্রতিবাদ সভা সফলভাবে অনুষ্ঠিত

 আন্দোলন প্রতিবেদন 
সোমবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫  |  অনলাইন সংস্করণ

১৮ জুলাই ২০২৫, ঢাকায় “শিশু কল্যাণ পরিষদ মিলনায়তন”-এ সিপিআই(মাওবাদী)'র সাধারণ সম্পাদক মহান মাওবাদী নেতা শহিদ কমরেড বাসবরাজসহ মাওবাদী ও আদিবাসীদের গণহত্যার প্রতিবাদে “ভারতে মাওবাদী ও আদিবাসী গণহত্যা-বিরোধী প্রতিবাদ কমিটি, বাংলাদেশ”-এর উদ্যোগে স্মরণ ও প্রতিবাদসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আন্তর্জাতিক সংগীতের মধ্য দিয়ে স্মরণ এবং প্রতিবাদ সভা শুরু হয়। তারপর অপারেশন কাগার সহ ফিলিস্তিন ও সারা বিশ্বে অন্যায় যুদ্ধে শহিদদের স্মরণে ১ মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।   শহিদ কমরেড বাসবরাজের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে মূল আলোচনা সভা শুরু হয়। মাওবাদী কবি হাসান ফকরীর সভাপতিত্বে এবং বিপ্লবী ছাত্র-যুব আন্দোলনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতির সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন খনন পত্রিকার সম্পাদক বাদল শাহ আলম, সমাজতান্ত্রিক বুদ্ধিজীবী সংঘের সদস্য সচিব আফজালুল বাশার, জাতীয় গণফ্রন্টের ভারপ্রাপ্ত সমন্বয়ক রজত হুদা, মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ডা. হারুন-অর-রশিদ, শহিদ বিপ্লবী ও দেশপ্রেমিক স্মৃতি সংসদের সদস্য সৈয়দ আবুল কালাম, জাতীয় গণতান্ত্রিক গণমঞ্চের সভাপতি মাসুদ খান, নয়াগণতান্ত্রিক গণমোর্চার সভাপতি জাফর হোসেন, বিপ্লবী ছাত্র-যুব আন্দোলন ঢাকা মহানগরের আহ্বায়ক নাঈম উদ্দিন প্রমুখ। আলোচনা সভা শেষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং লাল পতাকা, ফেস্টুন, ব্যানার সজ্জিত মিছিল পুরানা পল্টন, প্রেসক্লাব, দোয়েল চত্তর হয়ে টিএসসি’র রাজু ভাস্কর্যে গিয়ে পথসভার মধ্য দিয়ে শেষ হয়।  কমরেড বাসবরাজসহ শহিদদের স্মরণ এবং বিচারবহির্ভূত হত্যার প্রতিবাদে দেশে দেশে জনগণ বিদ্রোহ ও সংগ্রাম করছেন। বাংলাদেশ, ইতালি, গ্রিস, তুরস্ক, ফ্রান্স, অস্ট্রেলিয়া, ব্রাজিল, ফিলিপাইন, নেপালসহ বিভিন্ন দেশের কমিউনিস্ট পার্টি এবং সচেতন নাগরিক সমাজ শহিদদের স্মরণ সভা ও “অপারেশন কাগার” বন্ধের দাবিতে আন্দোলন করছেন। ভারতের বিভিন্ন প্রদেশের প্রগতিশীল ব্যক্তিত্বরা “অপারেশন কাগার” বন্ধের দাবিতে আন্দোলন করছেন। ভারত রাষ্ট্র যাদের মৃতদেহ ফিরিয়ে দিচ্ছে, তাদের শেষকৃত্য অনুষ্ঠানে হাজার হাজার জনগণ ঐক্যবদ্ধ হয়ে শেষ শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করছেন এবং সরকারের প্রতি ধিক্কার জানাচ্ছেন।  সিপিআই(মাওবাদী) কেবল একটি নাম নয়, তা এক জ্বলন্ত লাল আগ্নেয়গিরি। যেখানে হাজার হাজার শহিদের রক্তের ইতিহাস তৈরি হয়েছে। শহিদ কমরেড বাসবরাজ ছিলেন সেই লাল আগুনের অগ্রনায়ক। গত ২১ মে’২৫ সিপিআই (মাওবাদী)’র সাধারণ সম্পাদক কমরেড বাসবরাজ সহ ৩৫ জনের একটি গেরিলা ইউনিটকে ভারতের হিন্দুত্ববাদী  ফ্যাসিস্ট মোদি সরকার ২০ হাজার সৈন্যবাহিনী দিয়ে ঘেরাও করে ৬০ ঘণ্টার অসম যুদ্ধ শেষে গ্রেপ্তার করে। গ্রেফতারের পর বিনাবিচারে তাঁকে সহ ২৮ জন মাওবাদী নেতা-কমান্ডার-গেরিলাদের ঠান্ডা মাথায় হত্যা করেছে। এ ছাড়াও কেন্দ্রীয় ও গুরুত্বপূর্ণ নেতৃত্ব কমরেড সুধাকর, ভাস্কর, অরুণাসহ কর্মী-গেরিলা-জনগণকে হত্যা করেছে।   শহিদ কমরেড বাসবরাজ ওরফে নাম্বালা কেশব রাও ১৯৫৫ সালের ১০ জুলাই অন্ধ্র প্রদেশের শ্রীকাকুলাম জেলার কোটা বোম্মালি মণ্ডলের জিয়ান্নাপেট গ্রামে মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। ছাত্রাবস্থায় ’৭০-র দশকের শ্রীকাকুলাম কৃষক আন্দোলনের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে মাওবাদী মতাদর্শের প্রতি আকৃষ্ট হন।   তিনি ’৮০-র দশকে পেশাদার বিপ্লবী হিসেবে বাড়ি ছেড়েছিলেন। ৮০-র দশকে পার্টির নেতৃত্বাধীন সশস্ত্র বাহিনীর কমান্ডার হিসেবে পূর্ব গোদাবরী জেলায় নিয়োগ হন এবং পরবর্তীতে তিনি দণ্ডকারণ্য আন্দোলন গড়ে তোলার দায়িত্বে নিয়োজিত হন।   কেন্দ্রীয় সামরিক কমিশন-এর প্রধান হিসেবে তিনি বিপ্লবী আন্দোলনের অনেক সামরিক বিজয়ের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। তিনি উচ্চতর সামরিক কাঠামো, পিপলস লিবারেশন গেরিলা আর্মি (পিএলজিএ) প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। ভারতের মাওবাদীদের ঐক্যবদ্ধ করে সিপিআই (মাওবাদী) পার্টি গঠনে অন্যান্য নেতাদের সাথে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। দণ্ডকারণ্যে গেরিলা ঘাঁটি স্থাপন এবং গণক্ষমতার গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলো প্রতিষ্ঠার মতো রাজনৈতিক সিদ্ধান্তেও তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন।  ২০১৮ সালে ৬৩ বছর বয়সে কমরেড বাসবরাজ দলের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন এবং কঠিন সংকটময় পরিস্থিতিতে তিনি দলের নেতৃত্ব দিয়েছেন। ৭০ বছর বয়সে যুদ্ধ করতে করতেই তিনি শহিদের মৃত্যুবরণ করেন।  কমরেড বাসবরাজ শ্রমিক-কৃষক সহ নিপীড়িত জনগণের ন্যায়সঙ্গত অধিকার ও শোষণমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য পাঁচ-দশক ধরে নিরন্তর সংগ্রাম চালিয়ে গেছেন। সিপিআই(মাওবাদী) মার্কসবাদ-লেনিনবাদ-মাওবাদের আদর্শের ভিত্তিতে ভারত থেকে সকল সাম্রাজ্যবাদ, দালাল আমলা-মুৎসুদ্দি পুঁজিবাদ ও সামন্তবাদ উচ্ছেদ এবং সমাজতন্ত্র-কমিউনিজম ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে শ্রমিকশ্রেণির নেতৃত্বে শ্রমিক-কৃষক-মধ্যবিত্ত এবং আদিবাসী জনগণের গণক্ষমতা প্রতিষ্ঠার নয়াগণতান্ত্রিক বিপ্লবে নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন। তারই অংশ হিসেবে ভারতের দন্ডকারণ্যে জনতার সরকার ও পাল্টা প্রশাসন প্রতিষ্ঠা করেছেন।   ১৯৬৭ সালে শহিদ কমরেড চারু মজুমদারের নেতৃত্বে নকশালবাড়িতে এই সংগ্রামের সূচনা হয়েছিল। বহু চড়াই-উৎরাইয়ের মধ্যদিয়ে সিপিআই (মাওবাদী) আজ সংগ্রামের এ পর্যায়ে উত্তীর্ণ হয়েছে। বহু রাজ্যের অনেক অনেক জেলায় বিপ্লবী সংগ্রামের বিস্তার ঘটিয়েছে। গণযুদ্ধ ও গণসংগ্রামের মধ্য দিয়ে শাসকশ্রেণির ক্ষমতার ভিত কাঁপিয়ে দিয়েছে। তাই ভীত-সন্ত্রস্ত শাসকশ্রেণি আজ বিভিন্ন সামরিক অভিযান চালিয়ে মাওবাদী পার্টিকে নিশ্চিহ্ন করতে চাচ্ছে। কিন্তু বিপ্লবীদের মৃত্যুতে বিপ্লব ধ্বংস হয় না, কমরেড চারু মজুমদারের মৃত্যুতেও ধ্বংস হয় নি, কমরেড বাসবরাজের মৃত্যুতেও ধ্বংস হবে না। তিনি চিরকাল নির্যাতিত জনগণের হৃদয়ে বেঁচে থাকবেন।

আরও খবর
 
শনি
রোব
সোম
মঙ্গল
বুধ
বৃহ
শুক্র